যে কারণে রোজ আমলকি খাবেন এবং আমলকি চাষ পদ্ধতি
বীজ সংগ্রহ: আমলকী গাছে মার্চ-মে মাসে ছোট ছোট হলুদাভ ফুল দেখা গেলেও ফল পাকে নভেম্বর-ফেব্রুয়ারী মাসে। সুদৃশ্য ফল হিসেবে আমলকী আমাদের সকলের কাছেই পরিচিত। আমলকী খেতে কশ স্বাদের হলেও খাওয়ার পর পানি খেলে মুখ মিষ্টি লাগে। এই রহস্যময় ব্যাপারটির জন্যই আমলকীর ব্যাপক পরিচিতি। ফল ড্রুপ আকৃতির। এক কেজিতে সাধারণত ২০০-২২০টি আমলকী পাওয়া যায়। প্রতিটি ফলে ৫-৬টি প্রকোষ্ঠ থাকে এবং প্রতি প্রকোষ্ঠে একটি করে বীজ থাকে। ফলের মাংসল অংশ খেয়ে শক্ত আবরণসহ বীজ রোদে শুকালে ফেটে বীজ বের হয়। আমলকির বীজ নভেম্বর-ফেব্রুয়ারী মাসে সংগ্রহ করতে হবে।
প্রতি কেজিতে ৪০০০-৪৫০০০টি পাওয়া যাবে।
চারা উত্তোলন: বীজ সংগ্রহের সাথে সাথে বীজ মাটিতে বা সীড বেডে বপন করতে হয়। এ অবস্থায় ১৫ দিনে বীজ গজাতে শুরু করে, তবে অঙ্কুরোদগম হার মাত্র ৪০ ভাগ। এক্ষেত্রে বীজ ৮০ডিগ্রী সে. তাপে ৫ মিনিট ভিজিয়ে রেখে বপন করলে ১০ দিনে বীজ গজাতে শুরু করে এবং অঙ্কুরোদগমের হার হয় শতকরা ৮০ ভাগ পর্যন্ত।
বীজ এবং কলম দুই পদ্ধতিতে এ গাছের বংশ বিস্তার হয়ে থাকে। বাংলাদেশের প্রায় সব নার্সারীতেই আমলকীর চারা পাওয়া যায়। এ গাছ কেটে ফেললে আবার কাটা স্থান থেকে কুশি জন্মায় এবং ক্রমে তা পূর্ণাঙ্গ গাছে পরিণত হয়। আমলকী গাছ লাগানোর ৪/৫বছরের মধ্যে তা ফলবান হয়। তবে পরিপূর্ণভাবে ফলবান হতে ৭/৮ বছর লাগে। একটি মাঝরি আকারের আমলকী গাছের ফল বিক্রি করে বছরে ৭/৮শ টাকা আয় করা সম্ভব ।
No comments: